Editor Panel
- ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ / ২০৬ Time View
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গাজীপুরসহ সারা দেশে চলছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। এরই অংশ হিসেবে এখন পর্যন্ত গাজীপুরে মোট ৬৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্র গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান জানান, অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে জিএমপি ৮টি থানায় ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গাজীপুর জেলা পুলিশের অভিযানে ৫টি থানায় ৪৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু হওয়ার পর তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর নড়েচড়ে বসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঘোষণা দেয় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযানের।
এরপর শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকেই সাড়াশি অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে টহল জোরদার করা হয়। গাজীপুর জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেলসহ সড়কে বিভিন্ন গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালান সেনা সদস্যরা।
এর আগে, শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ছাত্র প্রতিনিধি আটকের খবর পাওয়া যায়।
এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় এক সমন্বয়কসহ ছাত্র-জনতার ২০/৩০ জনের একটি দল সেখানে যায়। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ১৫ জন আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে, এ হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার রাতেই গাজীপুর মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
পরদিন শনিবার দুপুরে শহরের রাজবাড়ী সড়কে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। সমাবেশে গাজীপুর সদর থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলামকে বরখাস্তের ঘোষণা দেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান। এছাড়াও অপরাধীদের ধরতে আল্টিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সরকার দেশব্যাপী অপারেশন ডেভিল হান্টের ঘোষণা দেয়।